সংসার হচ্ছে দুজন দুজনকে বোঝা। টাকা-পয়সা, সৌন্দর্য বিবাহিত জীবনকে সুখী করতে পারে না। দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আন্তরিকতা। বিনীত, নমনীয়, বিশ্বাসযোগ্য, ভালো স্বভাব, সহযোগী মনোভাবাপন্ন, ক্ষমাশীল, উদার ও ধৈর্যশীল গুণগুলো সংসার টিকিয়ে রাখতে সাহয্যে করে।
ভালোবাসা ছাড়া কোনো সাংসারিক দাম্পত্য জীবন সুখী হতে পারে না। তাই দুজন দুজনের প্রতি মায়া-মমতা ও ভালোবাসা থাকতে হবে। আর সংসার যে সবসময় সুখের হয় এমন নয়। সংসারে কখনও কখনও নেমে আসতে পারে দুঃখের কালো ছায়া।
প্রেম, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও নির্ভরযোগ্যতা বিয়ের চারটি স্তম্ভ। যখন একটি স্তম্ভ দুর্বল হয়ে যায়, সম্পর্ক নড়বড়ে হয়ে পড়ে। তাই সংসার জীবনে অনেক কিছুই মেনে চলতে হবে। স্ত্রীকে মুখ ফসকে সব কথা বলা যাবে না। কিছু কথা রয়েছে যা দাম্পত্য জীবনের সুখ কেড়ে নিতে পারে।
আসুন জেনে নিই যে ৪ কথা স্ত্রীকে ভুলেও বলবেন না-
তুমি স্বার্থপর
স্বামী ও স্ত্রী একে অপরকে কখনই বলবেন না যে তুমি এত স্বার্থপর কেন? স্ত্রী যদি আপনার পছন্দমতো কাজ না করে ও তাকে দোষী মনে হতে পারে। যদি সে সত্যিই স্বার্থপরের মতো আচরণ করে থাকে, তবু তাকে এ কথা বলতে যাবেন না।
তোমাকে বিয়ে করা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল!
স্ত্রী যদি কোনো ভুল করে, তবে কখনই বলবেন না– তোমাকে বিয়ে করা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। ঝগড়ার সময় এ ধরনের কথাগুলোই সম্পর্ক আরও তিক্ত করে তুলতে পারে।
তোমার চেয়ে আমার চাকরি গুরুত্বপূর্ণ
প্রতিটি কাজে একে অপরকে সম্মান করুন। স্বামীর চেয়ে আপনার আয় বেশি হলেও স্বামীকে কখনই বলা যাবে না যে– তোমার চেয়ে আমার চাকরি গুরুত্বপূর্ণ। তা হলে তিনি কষ্ট পাবেন।
তোমার মাকে পছন্দ করি না
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন। অনেককে আপনি অপছন্দ করতেই পারেন। তাই বলে রাগের মাথায় ‘আমি তোমার মাকে ঘৃণা করি’ বা ‘আমি তোমার বাবাকে ঘৃণা করি’- এ ধরনের কথা বলবেন না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।